• ব্রেকিং নিউজ

    শুরু হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯


    শুরু হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯

    “মোদের গরব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা।" ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু। রক্তস্নাত একুশের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম বাংলায় বলা ও লেখার অধিকার। জাতীয় ভাষা সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়াদী উদ্যানে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

    বিকাল ৩টায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মহসেন আল আরিশি। আল-আরিশির ‘শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ শীর্ষক গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করছে বাংলা একাডেমী। লেখকের উপস্থিতিতে বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে এবং এ সময় ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমী পুরুষ্কার জেতা বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেওয়া হবে।

    মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এই মেলায় এবার অংশ নিচ্ছে ৪৯৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। আগের যার সংখ্যা ছিল ৪৬৫টি। ৩ লাখ বর্গফুট জায়গা জুরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট বেশি। বাংলা একাডেমীর প্রাঙ্গণের নাম দেওয়া হয়েছে শহীদ বরকত আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে।

    পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ আরও বলেন, একাডেমী প্রাঙ্গণে ১০৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৬২০টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমীসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে দুটি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান পৃথক স্টল পেয়েছে। একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের স্টলে। এ সময় প্রতিদিন পাঁচজন করে লেখক তাদের পাঠকদের সাথে সরাসরি কথা বলবেন। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হবে এ মেলা থেকে।

    গ্রন্থমেলা কেন্দ্র করে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। এ মেলায় টিএসসি ও দোয়েল চত্বর দুটি, বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে তিনটি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের মোট ৬টি পথ থাকবে। এ মেলায় সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা। এ ছাড়া থাকবে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা।

    গ্রন্থমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

    No comments